Home » » সারাদেশে মোবাইল ফোন

সারাদেশে মোবাইল ফোন




ডা. অপূর্ব পন্ডিত :

সারাদেশে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে দিতে বিভিন্ন অপারেটররা ইচ্ছেমতো মোবাইল টাওয়ার বসাচ্ছে। এসব টাওয়ার থেকে নিঃসরিত রেডিয়েশনের কারণে খুলনা ও বরিশাল বিভাগে নারিকেল ও সুপাড়ি উৎপাদন ক্ষতির মুখে পড়ছেÑ একটি এনজিওর এরকম অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালে বিটিআরসি একটি কমিটি তৈরি করে যারা মোবাইল ফোন টাওয়ারের এই ক্ষতিকর প্রভাবগুলো বিশ্লেষণ করবে।




এনজিওটির ফিল্ডওয়ার্কাররা জানান, মোবাইল টাওয়ারের কাছাকাছি সুপাড়ি ও নারিকেল আকারে ছোট হয়ে আসছে এবং টাওয়ার সংলগ্ন গাছগুলোর ফলে কালো দাগ পড়ে। বিটিআরসির কমিটি এ ব্যপারে কোনো পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করতে পারেনি তবে গ্লোবাল সিস্টেম অব মোবাইল (জিএসএমের) একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল ২০১০ সালে একটি স্বল্প পরিসরের গবেষণায় জানায়Ñ ঢাকা শহরে অত্যাধিক মোবাইল টাওয়ার বসানোর ফলে চড়-ই জাতীয় পাখি দিন দিন বিলুপ্ত হচ্ছে। এ মুহূর্তে গ্রামীণ ফোনের ১৪ হাজার টাওয়ার এবং বাংলালিংকের ৫ হাজার ২শ, রবির ৮ হাজার ২শ, এয়ারটেলের ৪ হাজার ১শ, সিটিসেলের ২ হাজার ৯শ এবং টেলিটকের ১৪শ টাওয়ার রয়েছে।




বুয়েটের টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদার সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, মোবাইল টাওয়ার থেকে নিসৃত রেডিয়েশনের পরিমাণ ১৭ হাজার ১শ থেকে ৭২ হাজার মাইক্রোওয়াট। মানুষ ১ লাখ মাইক্রোওয়াট পর্যন্ত রেডিয়েশন সহ্য করতে পারে, পাখিরা সাধারণত ৪০ হাজার মাইক্রোওয়াটের বেশি সহ্য করতে পারে না। তাই পাখিরা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। তবে মানুষেরাও কেউ কেউ শারীরিকভাবে দুর্বল হওয়ার কারণে ৫০ হাজার মাইক্রোওয়াটেই অসুস্থ হতে পারে। তার বিভিন্ন রোগ এমনকি ক্যান্সার জাতীয় সমস্যাও দেখা দিতে পারে। বুয়েটের প্রভাষক ওয়াসিম হোসাইন যিনি মোবাইল টাওয়ারের উপর টরোন্টোয় গবেষণা করছেন তিনি বলেন, মোবাইল টাওয়ারের যত কাছে আপনি থাকবেন ততই আপনার শরীরে এর প্রভাব বাড়বে। বাংলাদেশে মোবাইল অপারটেররা আন্তর্জাতিক আইন অগ্রাহ্য করে ইচ্ছেমতো ছাদ বা ছোট ছোট জায়গা ভাড়া নিয়ে যেভাবে টাওয়ার বসাচ্ছে সেটা স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্যে মারাত্মক হুমকি হয়ে দেখা দেবে।




মোবাইলের টাওয়ার একটি থেকে অন্যটি অবশ্যই ৩শ মিটার দূরে বসানো উচিত বলে মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ। মোবাইল অপারেটররা বলছেন, সরকার যদি এ বিষয়ক কোনো গবেষণা করতে চায় তবে তারা পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা করবেন। তবে এতগুলো নেটওয়ার্ক সমন্বিত উদ্যোগ কী করে নেবে তা অবশ্য এখন পর্যন্ত পরিষ্কার হয়নি। ইএমআর পদ্ধতিতে এই রেডিয়েশন অনেকটাই কমানো সম্ভব বলে মত দেন বিশেষজ্ঞরা।




বিটিআরসির স্পেকট্রাম ডিরেক্টার কর্নেল রকিবুল হোসেনের মতে মোবাইল টাওয়ারের এই ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে বাস্তবিক কোনো গবেষণা এখন পর্যন্ত হয়নি, যেগুলো বলা হচ্ছে সবই এখনও থিওরিটিক্যাল। তবে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত টাওয়ার বসানোর ক্ষেত্রে কোনো নীতিমালা নেই।

1 comments:


  1. ১০০% সত্য মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা অনলাইনে ইনকাম করতে চাইলে ভিজিট করুন
    Online Income Tips
    www.oitips2.blogspot.com

    ReplyDelete

Like us on Facebook
Follow us on Twitter
Recommend us on Google Plus
Subscribe me on RSS