পেজ রেঙ্ক সেই বস্তু যা একটি ওয়েবসাইটের গুরুত্ব নির্ধারণ করে দেয় আর এটি এও স্বাক্ষ্য দেয় যে, যেকোন একটি নির্দিষ্ট সার্চ ইঞ্জিনে এ ওয়েবসাইটের গুরুত্ব কত। গুগল হচ্ছে সার্চের রাজা। তারা পেজ রেঙ্ক পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে যাতে সার্চ করে সঠিক ফলাফল পাওয়া যায়।
লিংক হচ্ছে ওয়েব জগতের মুদ্রাস্বরুপ আর গুগল সেসব ওয়েসাইট কে বেশি গুরুত্ব দেয় যাদের অন্য ব্লগের ব্যাক্লিংক বেশি রয়েছে। যদি তোমার একটা ওয়েবসাইট থাকে যেমন ধরোঃ তোমার-নাম.কম আর আমি তোমাকে একটা লিংক দিলাম যেটিতে ক্লিক করলে তোমার সাইটে চলে যাওয়া যাবে তবে, তোমার একটা ব্যাক্লিংক হয়ে গেল। তোমার ব্যাক্লিংক যত বেশি হবে তোমার ওয়বেসাইটের পেজ রেঙ্ক বাড়ার সুযোগও তত বেড়ে যাবে। পেজ র্যাংকের সাধারণ নীতিটি বুঝতে তোমার জন্যে একটি ছবি দিয়ে দিলাম।
ছবিতে দেখো, কল্পনা করো যে রঙ্গিন বলগুলো বিভিন্ন ওয়েবসাইট। হলুদ বলটি ধরো গুগল। অন্যান্য সকল ওয়েবসাইট গুগলের সাথে লিংক বদ্ধ রয়েছে তাই গুগল আকারে বড় এবং এর অধিকতর পেজ রাংক রয়েছে। এর চেয়ে ক্ষুদ্রতর সবুজ বলগুলো নতুন সাইট যাদের কোন লিংক নেই, অর্থাৎ কোন পেজ রেঙ্কও নেই। বড় হলুদ বলটি লাল বল গুলোর দিকে ইঙ্গিত করছে যাদের অন্যে কোন ব্যাকলিংক নেই কিন্তু তাদের কিছুটা বড় অবস্থান অর্জিত হয়েছে কারণ তাদের চেয়ে বড় সাইট তাদের লিংক দিয়েছে। এটি পেজ র্যাংকের শুধু একটা সাধারণ চিত্র, আসল চিত্রটি দেখলে তোমার মাথা খারাপ হয়ে যাবে।
তোমার ওয়েবসাইটের পেজ রেঙ্ক জেনে নিতে চলে যাওটুল্বার.গুগল.কম আর ডাউনলোড করে নাও সেই টুলবারটি। এখন তুমি তোমার দেখা বা ভিসিট করা ওয়েবসাইটের পেজ রেঙ্ক দেখতে পারো। যদি তোমার সাইটটি নতুন হয় তবে তুমি “কোন পেজ রেঙ্ক নাই” দেখতে পাবে। দুঃখ করো না, এটা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার।
মনে রেখো কোন ব্লগ বা ওয়েবসাইট পেজ রেঙ্ক পায় না, পায় শুধু একটা ওয়েব এড্রেস্(www.তোমারসাইট.com)। পেজ রেঙ্ক পাওয়া এতটাও কঠিন নয়। আমি যখন আমার প্রথম ব্লগ চালু করেছিলাম(blog-success.blogspot.com) তখন আমার ৩ মাস লেগেছিল শূণ্য পেজ রেঙ্ক থেকে ৩ পেজ র্যাংকে উঠতে। যখন আমি সেটাকে www.tamalanwar.com-এ রুপান্তরিত করলাম তখন সেটা আবার শূণ্য পেজ র্যাংকে চলে যায়।
গুগল পেজ র্যাংকে ১২টি স্ট্যাটাস বা অবস্থান রয়েছে প্রথমটি “কোন পেজ রেঙ্ক নেই”, পরে শূন্য থেকে শুরু করে ১০ পর্যন্ত। পেজ রেঙ্ক যত বেশি তত ভালো। তোমার লিংকগুলো যতটা “মানসম্মত” হবে তোমার পেজ রেঙ্কও তত ভালো হবে। এখন আমরা দেখবো কি কি ধরনের লিংক হতে পারে।
ব্যাক লিঙ্ক
এটি একটি সাধারণ লিংক যেটি তোমার ব্লগের দিকে ইঙ্গিত করে, যে বাক্যে তোমার সাইটের এড্রেসের নাম থাকে যেমন, তোমার-ব্লগ.কম।
কি-ওয়ার্ড লিংক
একটা বাক্য বা বাক্যাংশ তোমার ব্লগকে ইঙ্গিত করবে, যেটি আসলে একটি বাক্য নয় একটা শব্দ। যেমনঃ তোমার ব্লগটি বই বিষয়ক অর্থাৎ তোমার কি-ওয়ার্ড হতে পারে বুকস্।
রেলেভেন্ট লিংক বা প্রাসঙ্গিক লিংক
যদি তোমার ব্লগটি হয় “গাড়ি” বিষয়ক আর আরেকটি সাইট থাকে সেটিও কিনা “গাড়ি” বিষয়ক তারা যদি তোমাকে লিংক দেয় তবে সেটাই হবে রেলেভেন্ট বা প্রাসঙ্গিক লিংক। অন্য লিংকদের চেয়ে প্রাসঙ্গিক লিংক বেশি উপকারী।
ওয়ান-ওয়ে লিংক বা একমূখী লিংক
এ সাইটে তোমার লিংকটি আছে কিন্তু তোমার সাইটে তাদের লিংক নেই তবে সেটিই হবে ওয়ান-ওয়ে লিংক বা একমূখী লিংক। একমূখী লিংক পেজ রেঙ্ক পেতে বেশি সাহায্য করে।
মনে রেখো, ভালো পেজ রেঙ্ক পেলেই ওয়েবসাইট ভালো হয়ে যায় না। অনেক মানুষ অন্যদের অনেক টাকা দিয়ে বড় বড় ওয়েবসাইটের লিংক নিয়ে উচ্চতর পেজ রেঙ্ক অর্জন করে নিতে পারে। ব্লগিং-এ প্রথমে তুমি তোমার আর্টিকেল বা নিবন্ধে আর ব্লগের মানের প্রতি জোর দিবে। অতঃপর রেঙ্ক আপনাআপনি চলে আসবে।
এখনকার জন্যে বিদায় আর আমি তোমার জন্যে আরো লিখে যাবো।
মূল লেখাঃ Introducing to Google Page Rank
পেজ র্যাঙ্ক সমপ্র্কে আমি বানও ধারনা পেতে চাই। আমার রেজাল্টhttp://resultsallbd.blogspot.com/ সাইটের পেজ র্যাঙ্ক কিভাবে বাড়াবো।
ReplyDelete
ReplyDelete১০০% সত্য মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা অনলাইনে ইনকাম করতে চাইলে ভিজিট করুন
Online Income Tips
www.oitips2.blogspot.com